সড়কে চাঁদাবাজি: বিএনপি নেতার কাছে জবাব চাইলেন উপদেষ্টা

সড়কে চাঁদাবাজি: বিএনপি নেতার কাছে জবাব চাইলেন উপদেষ্টা

সড়কে চাঁদাবাজি: বিএনপি নেতার কাছে জবাব চাইলেন উপদেষ্টা

ঢাকা, ১১ মার্চ:

দেশের বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত আলোচনা চলছে। সম্প্রতি একাধিক পরিবহন মালিক ও চালক দাবি করেছেন, বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।

 এই প্রসঙ্গে বিএনপির এক শীর্ষ নেতার কাছে জবাব চেয়েছেন দলেরই এক উপদেষ্টা।

অভিযোগের বিবরণ সাম্প্রতিক এক ভিডিও বার্তায় পরিবহন শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, দেশের প্রধান মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, বাস ও অন্যান্য যানবাহন থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয়ভাবে বিএনপির কিছু নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই চাঁদাবাজি চলছে, যা পরিবহন খাতের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। একজন ট্রাক চালক বলেন, “আমরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করি, কিন্তু বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের চাঁদা দিতে হয়।

 যারা চাঁদা আদায় করছে, তারা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করছে।” উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “আমরা গণতন্ত্র ও স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। যদি কোনো নেতা এই ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আমি সরাসরি সংশ্লিষ্ট নেতার কাছে জবাব চেয়েছি।” বিএনপি নেতার জবাব বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বিএনপি নেতা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের দলকে হেয় করার ষড়যন্ত্র। আমি বা আমার কোনো সহযোগী এই ধরনের কাজে লিপ্ত নই। বরং, সরকারই চাঁদাবাজি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে, আর দোষ আমাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে চাঁদাবাজির অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

সরকারের অবস্থান সরকারি পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদাবাজি দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে এবং কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ই অপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে না। পরবর্তী পদক্ষেপ এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দলের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে।

কেউ কেউ চান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, আবার কেউ মনে করেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাল। বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিক সমিতি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক মহল কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।